The Daily News
Tagoredesha
The SAARC literary Festival in Dhaka made me think that we could call South Asia as Tagoredesh. I met so many poets, writers and fellow travelers, from Afghanistan, Bangladesh, Bhutan, India, Maldives, Nepal, Pakistan and our own Sri Lanka.
All of them held Tagore in the highest esteem, as the greatest literary figure of recent times.
Many moons ago, I wrote in this column, (20 June, 2012) about how we sang the Indian anthem and then the Sri Lanka anthem, at a ceremony in Colombo to honour Gurudev Rabindranath Tagore, and how I wished we had a universal anthem which all of us could sing together. At the Literary Festival in Dhaka, all the Bangladeshi sang “Amar Shonar Bangla”, while all the poets from the other seven South Asian nations stood at respectful attention. Instead of ‘Bangla’, if we had a word to include all South Asia, we could have sung this anthem together, because singing all eight anthems would not be very practical at such a festival. When they sing ‘O ma’ we could accept it as our ‘O Mother Earth’, and we all live under the same sky, breath the same air amidst our mango groves and paddy fields.
Or, as I suggested previously, we could use Gurudev’s own composition, “Jana gana mana” as the national anthem of all our countries, perhaps changing a few geographical locations, because he had said, “In a sense it is more a religious hymn for all mankind than a national anthem for any country”. It could be the ‘Morning Song of South Asia’ for now, and later to be made the ‘Morning song of Humanity’.
The 2014 literary festival was organized by the WRITE Foundation of Bangladesh (Writers Readers Illustrators Translators and Educators Foundation), an affiliated Chapter of the Foundation of SAARC Writers and Literature (FOSWAL). The theme was “Beyond Borders: Towards Trust and Reconciliation”. The festival was not just the reading of the papers and poetry, but more importantly, the interaction of all the delegates and the young students from the universities. We crossed all our borders, all barriers, and became one family.
The delegates were from all wakes of life. We had a former Diplomat, a former Member of Parliament, a former Commissioner of Elections, Managing Directors and Directors of private business organizations, but who were also novelists, short story writers and poets. As Ibrahim Waheed from Maldives (Indian Sahitya Akademy Award winner) mentioned, we have our political borders and we need passports, which he called ‘stop-ports’, because some of us, even within the South Asia region cannot pass a border without a valid visa on the ‘passport’. Yet what we need for perpetual peace was described by Immanuel Kant in 1795, that one condition for perpetual peace was universal hospitality or world citizenship. People from one country should be free to live in safety in others as long as they do not bring an army in with them.
Among the Sri Lankan delegation was Prof. J. B. Disanayake who reminded us of the ancient links with Bangladesh, with our children’s song, “Olinda tibenne koi koi dese/Olinada tibenne Bangali dese/Olinda sadanne koi koi dese/Olinda sadanne Sinhala dese”. We have learnt of ‘Bangali dese’ from our childhood. (Olinda or Arbus precatorius, in Bengali is Kunch or Ratti and in English is Indian liquorice). Prof. M. A. Nuhuman and State Award winner Kamala Wijeratne, also read their papers and poetry.
To move on to the theme of the festival, Towards Trust and Reconciliation, it is evident that once we develop trust among all our people, reconciliation comes inevitably. Poetry and all forms of literature could bring the trust among us, because poetic language is common to all of us, whether we write in Bengali, or Urdu or Dhivehi, or Sinhala, we share the same thoughts and feelings. We also have so many words in common, that it is not so very difficult to understand the other tongue to some extent.
The South Asian Tower of Babel is not as complicated as the global Babel. We have managed to communicate with each other to some extent, within our Babel, because most of our languages have grown from same origins and we share so much in common. We have so many of the South Asian nations communicating across borders in common languages, or which could be understood by many. That is why we could understand to some extent and enjoy the Bengali poetry, even though we did not know the language.
We do not have to develop a common language, though at present we use English as our link, and as our ‘Lingua Anglia’. And we can continue to do so, because there is a revival of the English language in our schools and universities, and we should be able to manage with it till such time as we could develop translations by our computers. Once we have instant translations of our South Asian languages into English or any other South Asian language our language barrier would disappear completely. By then also we could all meet in cyberspace, and we need not worry about all the geographical and political borders. We need not worry about the four-letter word ‘Visa’.
All these borders and barriers were created by us and we have created rules and regulations and synthetic labels. It is our duty and responsibility to move beyond these borders. It is time for us to rewrite the entire history of mankind, to emphasize togetherness and humaneness, and use the study of history as a healing process and ensure that all human beings would become Peaceful and Useful. Let us not take ‘ekla chalo re’ at its face value and walk alone, but sing together and walk together to a better, more humane world.
Source: http://www.dailynews.lk/features/tagoredesha
The Daily Amader Somoy
The Dialy Prothom Alo
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উৎসবের উদ্বোধন করে বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষা বিবেচনায় সার্ক দেশগুলো একসূত্রে গাঁথা। জাতিতে জাতিতে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে সাহিত্য-সংস্কৃতির মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫২ সালের এই ফেব্রুয়ারি মাসেই এ দেশের দামাল ছেলেরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রাণ দিয়েছিল। একুশের রক্ত ভেজা পথ ধরেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান, আমাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের নবজাগরণ। তিনি বলেন, জীবনমুখী সাহিত্যই পারে মানুষকে হিংস্রতা ও হানাহানির অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। দক্ষিণ এশিয়াকে দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে লাইসা আহমেদ লিসার গাওয়া জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্যে রাইট ফাউন্ডেশনের সভাপতি সেলিনা হোসেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিনিময়, অনুবাদের মাধ্যমে সাহিত্যকর্মকে ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় করে তোলার লক্ষ্যেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অজিত কোর তাঁর বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ১৯৭৫ সালে যখন তাঁর বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে দিল্লিতে ছিলেন। অজিত কোর ছিলেন তাঁর নিকট প্রতিবেশী। সেই দুঃসময়ে তিনি নানাভাবে সান্ত্বনা দিয়েছেন, সহমর্মিতা জানিয়েছেন।
অজিত কোর তাঁর বক্তৃতায় বলেন ‘ঔপনিবেশিক শাসকেরা কেক কাটার মতো করে বাংলা ও পাঞ্জাবকে কেটে ভারত ভাগ করেছিল। এটি ছিল ঐতিহাসিক ভুল। এই অঞ্চলের মানুষের খাদ্য, পোশাক, ভাষা, সংস্কৃতি, আবেগ, আনন্দ, বেদনার অনুভূতি ও তার প্রকাশ অভিন্ন। তিনি বলেন, একমাত্র বাংলাদেশের মানুষই ভাষা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এই দেশে আসতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার বিকাশ ও মানুষের মনোজগতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ ধরনের উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক, ধন্যবাদ জানান রাইট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রুবিনা হক। উৎসবে সহায়তা করছে দ্য ডেইলি স্টার ও চ্যানেল আই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় উৎসবের কার্যক্রম। প্রথম দিনে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন অভী সুবেদী, রবি শংকর বাল, সুকৃতা পাল কুমার, কমলা বিজেরত্নে, ইব্রাহিম ওয়াহিদ প্রমুখ।
পরে নিয়াজ জামানের সভাপতিত্বে সাহিত্য বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন সুকৃতা পাল, মফিদুল হক, সেলিনা হোসেন, হোসাং মার্চেন্ট ও রেফাকাত আলী খান। শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রবন্ধ পড়েন এম এ নুহ্মান, বাল বাহাদুর থাপা, প্রকাশ সুবেদী ও শিব রিজাল। এসব আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল দেশভাগ এবং সাহিত্যে এর প্রভাব।
সৈয়দ বদরুল আহসানের সঞ্চালনায় সার্ক অঞ্চলের ইতিহাস নিয়ে অংশ নেন সৈয়দ শামসুল হক ও সমরেশ মজুমদার। শেষে ছিল কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে কবিতা পাঠ। আজ দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে।
The Daily Ittefaq
সাহিত্য মানব ইতিহাসের মহাসড়ক :প্রধানমন্ত্রী
সার্ক সাহিত্য উত্সবে দারিদ্র্যমুক্ত দ. এশিয়া গড়ার আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি- প্রকৃত জীবনমুখী সাহিত্যই পারে মানুষকে হিংস্রতা ও হানাহানির অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। তিনি বলেন, সাহিত্য মানব ইতিহাসের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক ধরেই পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্যপ্রান্তের মানুষের যোগাযোগ ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী সার্ক সাহিত্য উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। তিনি দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু উল্লেখ করে দক্ষিণ এশিয়াকে একটি দারিদ্র্য মুক্ত, শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখক -সাহিত্যিকদের একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। তিনি তার বক্তৃতার শুরুতে বন্ধুপ্রতিম সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা সাহিত্যিকদের স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হোক আর সাহিত্যই হোক, সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। এ অঞ্চলের প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এক হয়ে কাজ করলে সার্কভুক্ত দেশগুলো দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে। এজন্য তিনি এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের উপর গুরুত্ব দেন।
ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচারের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার রাইট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচারের সভাপতি অজিত কাউর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেখিকা সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রুবানা হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলায় ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইংরেজিতে ডালিয়া রহমান।
এবার উত্সবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সীমানা পেরিয়ে: আস্থায় ও মিলনে’। উত্সবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের খ্যাতনামা ৩০ জন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ৩৮ জন লেখক, কবি ও সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে সক্ষম। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি কোন সীমারেখা মানে না। মানুষে মানুষে যোগাযোগ সৃষ্টিই কেবল পারে আমাদের মধ্যে বিভেদ, বৈষম্য এবং অন্ধকার দূর করতে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষা বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলো একইসূত্রে গাঁথা। ভৌগোলিক সীমারেখা আমাদের ভূখণ্ডগুলোকে আলাদা করলেও, এ অঞ্চলের মানুষেরা মনন ও মানসিকতায় প্রায় একই রকমের। তিনি বলেন, ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে আবারও এই ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৯ সালে তার সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ স্বীকৃত দিয়েছে। বিশ্বের ১৯৩ টি দেশে আজ অমর একুশে মাতৃভাষার রক্ষা ও উন্নয়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে পালিত হচ্ছে। এ সময় তিনি প্রবাসী বাঙালি রফিক ও সালামের অসাধারণ উদ্যোগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
The Daily Janakantha
দারিদ্র্যমুক্ত দঃ এশিয়া গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে
সার্ক সাহিত্য উৎসব উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রী
ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স এ্যান্ড লিটারেচারের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার রাইট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স এ্যান্ড লিটারেচারের সভাপতি অজিত কাউর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বানা হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলায় ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইংরেজীতে ডালিয়া রহমান। এবার উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সীমানা পেরিয়ে : আস্থার ও মিলনে।’ রাজনীতিবিদগণ এবং সাহিত্য অঙ্গনের মানুষরা দারিদ্র্য মুক্তির মতো জায়গায় এক হয়ে কাজ করতে পারেনÑ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের মানুষরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে সক্ষম।’ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি কোন সীমারেখা মানে না। মানুষে মানুষে যোগাযোগ সৃষ্টিই কেবল পারে আমাদের মধ্যে বিভেদ, বৈষম্য এবং অন্ধকার দূর করতে। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি-প্রকৃত জীবনমুখী সাহিত্যই পারে মানুষকে হিংস্রতা ও হানাহানির অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। সাহিত্য মানব ইতিহাসের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক ধরেই পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্যপ্রান্তের মানুষের যোগাযোগ ঘটে।” শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষা বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলো একইসূত্রে গাঁথা। ভৌগোলিক সীমারেখা আমাদের ভূখ-গুলোকে আলাদা করলেও, এ অঞ্চলের মানুষরা মনন ও মানসিকতায় প্রায় একই রকমের। তিনি বলেন, ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে আবারও এই ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে তাঁর সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালীন ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ার নতুন মাত্রা পেয়েছে । বিশ্বের ১৯৩টি দেশে আজ একুশে মাতৃভাষার রক্ষা ও উন্নয়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে পালিত হচ্ছে। এ সময় তিনি প্রবাসী বাঙালী রফিক ও সালামের অসাধারণ উদ্যোগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকে একুশ শুধু ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, জাতীয় জীবনের দিকনির্দেশক হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের মনন এবং মানবিক মূল্যবোধকে শাণিত করেছে। আমাদের অধিকারবোধকে সুতীক্ষè করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার উর্বর ভূমি অসংখ্য কবি-সাহিত্যিকের জন্ম দিয়েছে। সেই মধ্যযুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত আছে। বাংলার বাউল, কবিয়াল, সাধক, বয়াতিরাও আমাদের সাহিত্য-সঙ্গীতকে সমৃদ্ধ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলার কামার-কুমার-সূতোরগণও এক একজন সৃষ্টিশীল শিল্পী। সেকালের ফকির লালন শাহ, সিরাজ সাঁই বা একালের আব্দুল করিম, রাধারমণ দত্ত প্রমুখ আমাদের মনোজগতকে শাণিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকবি আলাওল, আব্দুল হাকিম, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসিমউদ্্দীন, জীবনানন্দ দাশ যুগে যুগে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি তার বক্তৃতার শুরুতে বন্ধুপ্রতিম সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা সাহিত্যিকদের স্বাগত জানান। উৎসবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের খ্যাতনামা ৩০ জন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ৩৮ জন লেখক, কবি ও সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।
The Daily Sangbad
সার্ক সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন : দারিদ্র এ অঞ্চলের একমাত্র শত্রু : প্রধানমন্ত্রী
দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়াকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখক ও সাহিত্যিকদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হোক আর সাহিত্যই হোক, সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। এ অঞ্চলের প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য। অথচ এটা হওয়ার কথা ছিল না। ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা এক হয়ে কাজ করলে সার্কভুক্ত দেশগুলো দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে।’ এজন্য তিনি এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী সার্ক সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। বাসস।
ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচারের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার রাইট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচারের সভাপতি অজিত কাউর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রুবানা
হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলায় ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইংরেজিতে ডালিয়া রহমান। এবার উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সীমানা পেরিয়ে : আস্থায় ও মিলনে’।
রাজনীতিবিদ এবং সাহিত্য অঙ্গনের মানুষরা দারিদ্র্য মুক্তির মতো জায়গায় এক হয়ে কাজ করতে পারেন_ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে সক্ষম।’
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি কোন সীমারেখা মানে না। মানুষে মানুষে যোগাযোগ সৃষ্টিই কেবল পারে আমাদের মধ্যে বিভেদ, বৈষম্য এবং অন্ধকার দূর করতে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি- প্রকৃত জীবনমুখী সাহিত্যই পারে মানুষকে হিংস্রতা ও হানাহানির অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। সাহিত্য মানব ইতিহাসের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক ধরেই পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ ঘটে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষা বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলো একইসূত্রে গাঁথা। ভৌগোলিক সীমারেখা আমাদের ভূখ-গুলোকে আলাদা করলেও এ অঞ্চলের মানুষেরা মনন ও মানসিকতায় প্রায় একই রকমের।
তিনি বলেন, ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে আবারও এই ভাষাকে আন্তর্জাতিক পরিম-লে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
১৯৯৯ সালে তার সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালীন ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ার নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশ্বের ১৯৩টি দেশে আজ একুশে মাতৃভাষার রক্ষা ও উন্নয়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে পালিত হচ্ছে। এ সময় তিনি প্রবাসী বাঙালি রফিক ও সালামের অসাধারণ উদ্যোগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন থেকে একুশ শুধু ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, জাতীয় জীবনের দিকনির্দেশক হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের মনন এবং মানবিক মূল্যবোধকে শাণিত করেছে। আমাদের অধিকারবোধকে সুতীক্ষ্ন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার উর্বর ভূমি অসংখ্য কবি-সাহিত্যিকের জন্ম দিয়েছে। সেই মধ্যযুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত আছে।
বাংলার বাউল, কবিয়াল, সাধক, বয়াতিরাও আমাদের সাহিত্য-সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলার কামার-কুমার-ছুতাররা এক একজন সৃষ্টিশীল শিল্পী। সেকালের ফকির লালন শাহ, সিরাজ সাঁই বা একালের আবদুল করিম, রাধারমণ দত্ত প্রমুখ আমাদের মনোজগতকে শাণিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকবি আলাওল, আবদুল হাকিম, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ দাশ যুগে যুগে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি তার বক্তৃৃতার শুরুতে বন্ধুপ্রতিম সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা সাহিত্যিকদের স্বাগত জানান।
উৎসবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের খ্যাতনামা ৩০ জন ও স্বাগতিক বাংলাদেশের ৩৮ জন লেখক, কবি ও সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।
The Daily Samakal
দারিদ্র্যমুক্ত দ. এশিয়া গড়তে একসঙ্গে কাজ করুন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি হোক আর সাহিত্য, সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন।
দারিদ্র্যকে এ অঞ্চলের প্রধান শত্রু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়াকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখক ও সাহিত্যিকদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি হোক আর সাহিত্য, সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। এ অঞ্চলের প্রধান সমস্যা দারিদ্র্য। অথচ এটা হওয়ার কথা ছিল না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এক হয়ে কাজ করলে সার্কভুক্ত দেশগুলো দ্রুততম সময়ে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে।’ এ জন্য তিনি এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী সার্ক সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে এ কথা বলেন।
ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচারের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার রাইট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক এবং ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটারস অ্যান্ড লিটারেচারের সভাপতি অজিত কাউর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেলিনা হোসেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রুবানা হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা আবৃত্তি করেন বাংলায় ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইংরেজিতে ডালিয়া রহমান। এবার উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সীমানা পেরিয়ে :আস্থার ও মিলনে’।
রাজনীতিবিদ ও সাহিত্য অঙ্গনের মানুষ দারিদ্র্যমুক্তির মতো জায়গায় এক হয়ে কাজ করতে পারেন_ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষে মানুষে, জাতিতে জাতিতে মেলবন্ধন সৃষ্টিতে সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের মানুষ সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে সক্ষম।’ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতি কোনো সীমারেখা মানে না। মানুষে মানুষে যোগাযোগ সৃষ্টিই কেবল পারে আমাদের মধ্যে বিভেদ, বৈষম্য ও অন্ধকার দূর করতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রকৃত জীবনমুখী সাহিত্যই পারে মানুষকে হিংস্রতা ও হানাহানির অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে। সাহিত্য মানব ইতিহাসের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক ধরেই পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ ঘটে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি-ভাষা বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলো একই সূত্রে গাঁথা। ভৌগোলিক সীমারেখা আমাদের ভূখণ্ডকে আলাদা করলেও এ অঞ্চলের মানুষের মনন ও মানসিকতায় প্রায় একই রকমের। তিনি বলেন, বাংলার উর্বর ভূমি অসংখ্য কবি-সাহিত্যিকের জন্ম দিয়েছে। সেই মধ্যযুগ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি তার বক্তৃতার শুরুতে বন্ধুপ্রতিম সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা সাহিত্যিকদের স্বাগত জানান।
উৎসবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের খ্যাতনামা ৩০ জন এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের ৩৮ জন লেখক, কবি ও সাহিত্যিক অংশ নিচ্ছেন।
The Daily Star
Litterateurs, connoisseurs gather to melt borders
Aiming to melt borders through intellectual interactions, writers, poets and academicians of the eight South Asian Association for Regional Cooperation (Saarc) countries met at SAARC Literary Festival Dhaka 2014 yesterday.
Inaugurated by Prime Minister Sheikh Hasina in the capital’s Bangladesh National Museum, the two-day festival on paper presentations, discussions and poetry recitations seeks to build on its theme, “Trust and Reconciliation Beyond Borders”.
Litterateurs and literature connoisseurs numbering 29 are participating in the festival organised by Writers Readers Illustrators Translators and Educators (WRITE) Foundation, the Bangladesh chapter of the Foundation of SAARC Writers and Literature (Foswal).
About 50 Bangladeshi writers, poets, researchers, academicians and publishers joined the foreign delegates in yesterday’s five sessions and are expected to attend five more today.
Yesterday’s sessions focused on how literature at many times revealed historical truths and bridged gaps created through traumatic events such as the partition of the Indian subcontinent in 1947.
Presenting his academic paper, “Bridging trans-border historical trauma: problems and prospects of reconciliation” in the first session, Nepali essayist, critic, playwright and poet Abhi Subedi discussed the historical trauma created by the rise of borders in South Asia.
In Maldivian cultural personality and former policymaker Ibrahim Waheed’s speech, the anguish of the current divide borders impose on free movement within South Asia came up.
Sri Lankan educationist Kamala Wijeratne in her presentation proposed launching an e-journal for publishing and sharing Saarc literature.
She also called to create a youth forum within Saarc and start giving away a literary award to young writers so that they can share experiences and rebuild trust.
Indian novelist Ravishankar Bal and academician Sukrita Paul Kumar also spoke at the session chaired by Bangladeshi writer Syed Manzoorul Islam.
The second session, “Partition Literature”, had interesting deliberations by Bangladeshi writer Selina Hossain, Liberation War Museum Trustee and researcher Mofidul Hoque and Indian academician Refaqat Ali Khan.
Mofidul explained why there was a dearth of literature on the partition in the then East Pakistan, currently known as Bangladesh.
“It was difficult to write about the partition when you have arrived in a land of Muslims and you cannot lament for the land you have left behind, the land of the Hindus,” he said on the situation of Muslims migrating from India to Pakistan after the partition.
Mofidul also pointed out how war trauma passed on to future generations who were later found to have carried out the same kind of violence their ancestors were once subjected to.
To this end, he cited examples of the Punjabi men, comprising the majority in the then Pakistan occupation forces, who tortured Bangalees during the 1971 Liberation War and whose ancestors had to shift from India during the partition.
He also cited the torture on Palestinians by Israelis whose Jewish ancestors had been victims of the Holocaust during World War II.
The session ended with several beautiful poetry renditions on the partition by Indian poet Hoshang Merchant.
Four more academic papers on violence within and across borders and how it came up in literary discourses in Nepal and Sri Lanka were discussed in another session chaired by Bangla Academy Director General Prof Shamsuzzaman Khan.
Sri Lankan academician MA Nuhman and Nepali poets Bal Bahadur Thapa and Prakash Subedi and cultural activist Shiva Rijal presented their papers.
The day’s attraction was the discussion between two legendary Bangla litterateurs, poet Shamsul Huq of Bangladesh and Samaresh Majumdar of India, on “Historical fault lines and reconciliation”.
In the discussion, moderated by Syed Badrul Ahsan, executive editor of The Daily Star, Shamsul Huq presented his personal recollection on the partition.
“Borders cannot divide language or the emotions of human being,” said Majumdar, adding that he was proud to write in Bangla, the language for which people laid down their lives. The day ended with poetry recitations in different languages.
Chair of one of the sessions, Prof Niaz Zaman, told The Daily Star, “Conferences of this sort are platforms where we can express our common humanity and overcome our differences.”
Rubana Huq, secretary general of WRITE Foundation, said they plan to hold a bimonthly lecture series on literary subjects and start working on translations of Bangladeshi writings which lack exposure.
“Instead of calling it a conference we preferred festival to celebrate the togetherness,” she said, adding that the festival, being held for the second time, was first held in 2001 by Foswal.
The New Age
PM urges South Asian writers to work together for poverty alleviation
United News of Bangladesh . Dhaka
Terming poverty the main enemy of South Asia, prime minister Sheikh Hasina on Thursday urged all, including poets and littérateurs, to work together to ensure peace in the region by freeing it from poverty.
‘The main enemy of this South Asian region and the SAARC countries is poverty and we’ll have to come out of its vicious cycle, and this is our main target,’ she said.
‘Let’s work together to turn South Asia into a poverty-free and peaceful region so that the people of this area can lead a better life,’ Hasina said while addressing the inaugural function of a two-day SAARC Literary Festival-2014 organised by WRITE Foundation, the Bangladesh chapter of the Foundation of SAARC Writers and Litterateurs, at the National Museum at Shahbagh in the capital.
Cultural affairs minister Asaduzzaman Noor, president of the Foundation of SAARC Writers and Litterateurs Ajeet Cour and eminent Syed Shamsul Haq also spoke at the function.
President of the WRITE Foundation Selina Hossain delivered welcome address. WRITE Foundation general secretary Rubana Huq gave vote of thanks.
Speaking at the function, the prime minister expressed her belief that the real life-oriented literature could bring back people from the darkness of clashes and ferocities to the path of light.
Sheikh Hasina said illiteracy, ignorance and narrowness on religious knowledge are some of the major problems which are creating obstacles to enrichment of the people in the region.
Stressing the need for maintaining close contact among the people of the region, she said politicians and cultural-minded people are the most capable sections of society in creating bonds among the nations as culture and literature have no geographical boundary.
The premier said literature not only arouses the artistic bent of mind but also works as the lighthouse of a nation. ‘Literature is the highway of human history. Traveling through this highway, people across the world are interconnected.’
Hasina said that the SAARC countries are interlinked when it comes to history, tradition and literature-culture and language. The geographical boundaries separated people, but their mindset, and hopes and aspirations are identical.
Noting that literature is very important for any society, the Prime Minister said a society which advances through nurturing of literature could never be suppressed like in the case of Bangladesh.
Citing that the endless natural beauty of Bangladesh may lead anyone to become a poet or writer, she said that even a military dictator in the country once became a poet.
Hasina said the country would continue to move forward not bowing to any kind of injustice. ‘I think that the exchange of cultural activities can act as a bridge to improve relations with any country or nation.’
She said the riverine Bangladesh blessed with natural beauty is also a fertile land of literary and cultural activities. The people of this land on one hand are firm in character, hardworking, and on the other, they are soft and passionate in human qualities.
Not only educated one, self-educated bauls and bards of this soil had enriched the country’s literature and songs. The potters, blacksmiths and carpenters are also unique creative artists of Bangladesh.
She said that Fakir Lalon Shah, Siraj Sai or Shah Abdul Karim or Radha Raman Dutta enlightened hearts and souls of all by their works.
A total of 68 renowned authors, including 30 from India, Pakistan, Afghanistan, Sri Lanka, Nepal, Bhutan and the Maldives, are participating in the festival.